একটি গল্প বলছি একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়ুন।
অনেক আগের কথা। একটি ছোট ছেলে, ছোট বেলা থেকেই আট দশটা তার বয়সী ছেলে থেকে ছিল অসাধারণ। অন্য ছেলেরা যখন খেলতো, বই খাতা নিয়ে স্কুলে যেত গুটি গুটি পায়ে, তখন সে বিভিন্ন গাছের পাতা, ফল, বীজ, ছোট ছোট কীট পতঙ্গ, পিঁপড়ে, প্রজাপতির পেছনে ছুটে বেড়াতো। হাতের কাছে পেলেই তার পকেটে পুড়ে ফেলতো। একটু বড় হয়েই একটি আতশি কাঁচ নিয়ে সারা দিন তার এই প্রিয় কাজটি করে বেড়াতো। সবাই তাকে ভাবতো পাগল। কিন্তু সে তার কাজ আপন মনে করেই যেত।
অনেক আগের কথা। একটি ছোট ছেলে, ছোট বেলা থেকেই আট দশটা তার বয়সী ছেলে থেকে ছিল অসাধারণ। অন্য ছেলেরা যখন খেলতো, বই খাতা নিয়ে স্কুলে যেত গুটি গুটি পায়ে, তখন সে বিভিন্ন গাছের পাতা, ফল, বীজ, ছোট ছোট কীট পতঙ্গ, পিঁপড়ে, প্রজাপতির পেছনে ছুটে বেড়াতো। হাতের কাছে পেলেই তার পকেটে পুড়ে ফেলতো। একটু বড় হয়েই একটি আতশি কাঁচ নিয়ে সারা দিন তার এই প্রিয় কাজটি করে বেড়াতো। সবাই তাকে ভাবতো পাগল। কিন্তু সে তার কাজ আপন মনে করেই যেত।
আর একটি ছেলের গল্প বলি। স্কুলের পড়ার বই গুলোর মধ্যে এক মাত্র বিজ্ঞান বইটিই পড়তে তার ভাল লাগতো। আর বিজ্ঞান বইটি পড়ার সময় মনে হতো যদি সব গুলো পরীক্ষা বাস্ত্মবে করে দেখা যেত। কিন্তু বড়রা নিষেধ করতেন। তারপর ও সবার চোখের আড়ালে সে পরীক্ষা গুলো ঠিকই করতো। পড়তে পড়তে যখন এক ঘেয়ামী লাগতো তখন সামনে দিয়ে একটি পিপড়ে বা মশা উড়ে গেলে তা ধরে আতশি কাঁচ দিয়ে দেখতো। তার তখন মনে হতো যদি একটা মাইক্রোস্কোপ পাওয়া যেত বা তৈরী করা যেত তবে খুব ভাল হতো। এগুলোকে আরো ভাল ভাবে দেখা যেত। কিন্তু তখন তার পক্ষে একটি মাইক্রোস্কোপ কেনা সম্ভব হয়নি বা বানাতে ও পারেনি। কিন্তু সেদিনের সেই ইচেছ তার কখনো মরে যায়নি।
সেই দিনের সেই ছেলেটি আজ বড় হয়েছে এবং তার স্কপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তৈরী করেছে একটি মাইক্রোস্কোপ। আসলে ছেলেটি শুধু নিজের স্বপ্ন ই পূরণ করেনি। সে একই সাথে আরো অনেকের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এমন অনেকেই আছে যাদের সাধ আছে সাধ্য নাই তাদের কথা চিন্ত্মা করে মাত্র ৩০০ টাকায় মাইক্রোস্কোপ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। যাতে পড়ার টেবিলে একটি পেন হোল্ডারের মত একটি মাইক্রোস্কোপ কে ও রাখা যায়। এই মাইক্রোস্কোপটি দিয়ে ক্লাস ৫-৯ বিজ্ঞান বই এর বায়লোজির প্র্যাকটিক্যাল গুলো করা যাবে অতি সহজে ই। আরো আছে বাংলাদেশে প্রথম উদ্ভাবিত ইলেকট্রিক্যাল সিম্পল মাইক্রোস্কোপ। যার মধ্যে এল .ই.ডি বাতি,সুইচ, ব্যাটারি ও বাতির আলোকে রেগুলেট করার জন্য সার্কিট ব্যবহার করা হযেছে। যাতে আলোর স্বল্পতার সময় ও এই মাইক্রোস্কোপটি দিয়ে কাজ করা যায়।
সেই দিনের সেই ছোট ছেলেটি আমি। আর উপরের ছোট ছেলেটি চার্লস ডারউইন। এক বার ভেবে দেখুন যিনি একটি একটি অতি সাধারণ আতশি কাঁচ দিয়ে এতো বিপুল জীব বৈচিত্যের রহস্য উন্মচন করে গেছেন। আর আপনাদের হাতের নাগালে আছে এখন মাইক্রোস্কোপ। আপনাদের পক্ষে এটি ব্যবহার করে কি করা সম্ভব.........................