Latest Articles

Text Widget

জীবন ও জীবিকাভিত্তিক তথ্যভান্ডার

Powered by Blogger.

Find Us On Facebook

Download

Search This Blog

header-menu

Browsing "Older Posts"

একটি গল্প বলছি একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়ুন।
অনেক আগের কথা। একটি ছোট ছেলে, ছোট বেলা থেকেই আট দশটা তার বয়সী ছেলে থেকে ছিল অসাধারণ। অন্য ছেলেরা যখন খেলতো, বই খাতা নিয়ে স্কুলে যেত গুটি গুটি পায়ে, তখন সে বিভিন্ন গাছের পাতা, ফল, বীজ, ছোট ছোট কীট পতঙ্গ, পিঁপড়ে, প্রজাপতির পেছনে ছুটে বেড়াতো। হাতের কাছে পেলেই তার পকেটে পুড়ে ফেলতো। একটু বড় হয়েই একটি আতশি কাঁচ নিয়ে সারা দিন তার এই প্রিয় কাজটি করে বেড়াতো। সবাই তাকে ভাবতো পাগল। কিন্তু সে তার কাজ আপন মনে করেই যেত।
আর একটি ছেলের গল্প বলি। স্কুলের পড়ার বই গুলোর মধ্যে এক মাত্র বিজ্ঞান বইটিই পড়তে তার ভাল লাগতো। আর বিজ্ঞান বইটি পড়ার সময় মনে হতো যদি সব গুলো পরীক্ষা বাস্ত্মবে করে দেখা যেত। কিন্তু বড়রা নিষেধ করতেন। তারপর ও সবার চোখের আড়ালে সে পরীক্ষা গুলো ঠিকই করতো। পড়তে পড়তে যখন এক ঘেয়ামী লাগতো তখন সামনে দিয়ে একটি পিপড়ে বা মশা উড়ে গেলে তা ধরে আতশি কাঁচ দিয়ে দেখতো। তার তখন মনে হতো যদি একটা মাইক্রোস্কোপ পাওয়া যেত বা তৈরী করা যেত তবে খুব ভাল হতো। এগুলোকে আরো ভাল ভাবে দেখা যেত। কিন্তু তখন তার পক্ষে একটি মাইক্রোস্কোপ কেনা সম্ভব হয়নি বা বানাতে ও পারেনি। কিন্তু সেদিনের সেই ইচেছ তার কখনো মরে যায়নি।
সেই দিনের সেই ছেলেটি আজ বড় হয়েছে এবং তার স্কপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তৈরী করেছে একটি মাইক্রোস্কোপ। আসলে ছেলেটি শুধু নিজের স্বপ্ন ই পূরণ করেনি। সে একই সাথে আরো অনেকের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এমন অনেকেই আছে যাদের সাধ আছে সাধ্য নাই তাদের কথা চিন্ত্মা করে মাত্র ৩০০ টাকায় মাইক্রোস্কোপ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। যাতে পড়ার টেবিলে একটি পেন হোল্ডারের মত একটি মাইক্রোস্কোপ কে ও রাখা যায়। এই মাইক্রোস্কোপটি দিয়ে ক্লাস ৫-৯ বিজ্ঞান বই এর বায়লোজির প্র্যাকটিক্যাল গুলো করা যাবে অতি সহজে ই। আরো আছে বাংলাদেশে প্রথম উদ্ভাবিত ইলেকট্রিক্যাল সিম্পল মাইক্রোস্কোপ। যার মধ্যে এল .ই.ডি বাতি,সুইচ, ব্যাটারি ও বাতির আলোকে রেগুলেট করার জন্য সার্কিট ব্যবহার করা হযেছে। যাতে আলোর স্বল্পতার সময় ও এই মাইক্রোস্কোপটি দিয়ে কাজ করা যায়।
সেই দিনের সেই ছোট ছেলেটি আমি। আর উপরের ছোট ছেলেটি চার্লস ডারউইন। এক বার ভেবে দেখুন যিনি একটি একটি অতি সাধারণ আতশি কাঁচ দিয়ে এতো বিপুল জীব বৈচিত্যের রহস্য উন্মচন করে গেছেন। আর আপনাদের হাতের নাগালে আছে এখন মাইক্রোস্কোপ। আপনাদের পক্ষে এটি ব্যবহার করে কি করা সম্ভব.........................

স্বপ্ন হলো সত্যি

Labels:
By: Admin - Sunday 1 February 2015
আমেরিকার কাকঃ
অামাদের দেশের মতো আমেরিকাতেও কাক দেখতে পাওয়া যায়। তবে এদের আলাদা পরিচয় রয়েছে। এরা হচ্ছে ‘আমেরিকান ক্রো’। কানাডার দক্ষিণাঞ্চল থেকে আমেরিকার প্রায় সর্বত্রই এদের দেখা মেলে। প্রাপ্তবয়স্ক এসব কাক ঠোঁট থেকে লেজ পর্যন্ত কালো হয়।
এদের চোখ বাদামী রঙের। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের কালো পালকের উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকে। তবে আমাদের দেশে যেসব কাক দেখতে পাওয়া যায় সেগুলোর গলা, ঘাড় এবং বুকের দিকটা ধূসর রঙের হয়ে থাকে। তবে অনেকে র‍্যাভেন বা দাঁড়কাকের সাথে ‘আমেরিকান ক্রো’-কে গুলিয়ে ফেলেন
দাঁড়কাকের পাখা এবং লেজ সূচালো হয়, আকারে এরা সাধারণ কাকের চেয়ে বড় হয়, এদের ঠোঁটের আকৃতিও হয় ভিন্ন। আর এরা সাধারণ কাকের চাইতেও কর্কশ স্বরে ডাকে।
আমেরিকান কাক পরিবার নিয়ে বসবাস করে। স্ত্রী-পুরুষ দুজনে মিলেমিশে নিজেদের ঘর তৈরি করে। বসন্তে অথবা গ্রীষ্মকালে মেয়ে কাক সাধারণত চার থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে।
জন্মের পাঁচ সপ্তাহ পরে বাচ্চা কাকেরা উড়তে এবং শিকার ধরতে শেখে। আমেরিকান কাকেরা সাধারণত এদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে যায় না।
শীতকালে এসব কাক বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে এক জায়গায় একত্রিত হয়। যেসব এলাকায় বড় বড় গাছ রয়েছে সেসব জায়গাতেই এদের একত্রিত হতে ও বাসা বানাতে দেখা যায়।
কাক মোটামুটি সব জিনিসই খায়। আমাদের দেশের কাক সাধারণত ময়লা-আবর্জনা খেয়েই বেঁচে থাকে। তবে আমেরিকার কাক কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে ছোটখাটো প্রাণী যেমনঃ ব্যাঙ ও বিভিন্ন ফলমূল খেয়ে থাকে।
এরা সাধারণত বড় বড় গাছ রয়েছে এমন খোলামেলা জায়গায় বসবাস করতে পছন্দ করে। মাঝেমধ্যে সবজি বাগানের আশেপাশেও এদের দেখতে পাওয়া যায়। লোকালয়ের আশেপাশে, বিভিন্ন পার্কেও সহজেই এদের দেখা মেলে। আমেরিকাতেও কাকদের খুবই বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়।

আমেরিকার কাক

Labels:
By: Admin -
***বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি***
***বিজ্ঞান বিষয়াবলী***
বিভিন্ন আবিস্কার,আবিস্কারক ও আবিষ্কারের সাল (পর্ব-১)
১.কাচ - জার্মানির বিজ্ঞানী আগসবার্গ ১০৮০ সালে।
২.প্রিন্টিং প্রেস-জার্মানির বিজ্ঞানী গুটেনবার্গ ১৪৫০ সালে।
৩.সৌরজগৎ-পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী কোপারনিকাস ১৫৪০ সালে।
৪.বিদ্যুৎ -ব্রিটেনের বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্ট ১৫৭০ সালে
৫.অণুবীক্ষণ যন্ত্র- নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী জেড ব্যানসেন ১৫৯০ সালে।
৬.থার্মোমিটার-ইতালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি ১৫৯৩ সালে।
৭. টেলিস্কোপ-নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী হ্যান্স লিপারসি ১৬০৮ সালে।
৮.ব্যারোমিটার-ইতালির বিজ্ঞানী ইভার জেলিস্টটরিসিলি ১৬৪৩ সালে।
৯.বায়ু নিষ্কাশন যন্ত্র-জার্মানির বিজ্ঞানী অটোভ্যান গেরিক ১৬৫০ সালে।
১০.ঘড়ি- ডাচ বিজ্ঞানী সি হাইজেন ১৬৫৭ সালে।
১১.ক্যালকুলেটর-জার্মানির বিজ্ঞানী উইলহেম লিবনিজ ১৬৭১ সালে।
১২.পিয়ানো- ইতালির বিজ্ঞানি ক্রিস্টোফরি ১৭০৯ সালে।
১৩.হাইড্রোজেন-ব্রিটেনের বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেন্ডিস ১৭৬৯ সালে।
১৪.বাষ্পীয় ইঞ্জিন-স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানী জেমস ওয়াট ১৭৬৯ সালে।
১৫.বাষ্পীয় গাড়ি-ফ্রান্সের বিজ্ঞানী নিকোলাস ক্যানট ১৭৬৯ সালে।

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

Labels:
By: Admin -
তামাকের আদি জন্মস্থান আজকের আমেরিকা ।
অনেক আগ থেকেই আমেরিকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা তামাকের নেশা করতো ।
তবে তাদের তামাক টানাটা একটু অন্যরকম ছিলো ।
তারা লম্বা একটি নলের সাহায্যে নাক দিয়ে তামাকের ধোয়া টেনে নিতো ।
এই লম্বা, কারুকার্যময় নলটির নাম ছিল টুবাক(tubak) ।
এই টুবাক শব্দ থেকেই তামাকের ইংরেজী রাখা হয় টোবাকো(tobacco) ।
আমেরিকা থেকে ইউরোপে সর্বপ্রথম তামক আমদানি করেন বিখ্যাত ব্রিটিশ সেনাপতি স্যার ওয়াল্টার র্যালে ।
এরপরই তামাকের নেশা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বময় ।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।

তামাকের আদি জন্মস্থান আজকের আমেরিকা

Labels:
By: Admin -
আজ ১লা ফ্রেবুয়ারি- এই দিনে
-----------------------------------
১৬৬৬ - মোগল সম্রাট শাহজাহান বন্দি অবস্থায়
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৭২৬- কলকাতায় প্রথম কোর্ট বসে।
১৭৪৩- মার্কিন উদ্ভাবক জন ফিচের জন্ম।
১৭৮৫- ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর জেনারেল
পদ থেকে ইস্তফা দেন।
১৭৯০- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
প্রথমবারের মত বসে।
১৭৯৭- লর্ড কর্নওয়ালিস ভারতের গভর্নর জেনারেল
রুপে শপথ নেন।
১৮০১- ফরাসি অভিধান- প্রণেতা মাক্সিমিলিয়্যাঁ
পল এমিল লিত্রে এর জন্ম।
১৮০৫- কল্পবাদী সমাজতন্ত্রী ও
ফরাসি বিপ্লবী লুই ব্লাঁকি- এর জন্ম।
১৮২৭- বেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৩১- কলকাতায় প্রথম চারুকালা প্রদর্শনীর
উদ্বোধন হয়।
১৮৫১- কবি শেলির পত্নী ও ফ্রান্কেনস্টাইন
রচিয়তা মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট শেলির মৃত্যু।
১৮৬২- বঙ্গীয় আইন সভার উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু
হয়।
১৮৭১- কলকাতায় শিক্ষয়িত্রী প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৪- অস্ট্রীয় কবি, নাট্যকার ও প্রাসঙ্গিক
হুগো ফন হফমানস্টাল-এর জন্ম।
১৮৮১- দিল্লির প্রাচীনতম কলেজ সেন্ট স্টিফেন
কলেজ স্থাপিত হয়।
১৮৮৪- অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি প্রথম
প্রকাশিত হয়।
১৯০২- মার্কিন লেখক ল্যাংস্টন হিউজের জন্ম।
১৯০৫- ইতালীয় মার্কিন পদার্থবিদ অ্যামিলিও
জিনো সেগরে-র জন্ম।
১৯০৯- কিশোর- সাহিত্যের লেখক ক্ষিতীন্দ্রনারা
য়ণ ভট্টাচার্যের জন্ম।
১৯১০- প্রথম ব্রিটিশ চাকরি বিনিময় কেন্দ্র
খোলা হয়।
১৯২৩- বাংলাদেশের কূটনীতিক হোসেন আলীর
জন্ম।
১৯২৪- ব্রিটেন সোভিয়েত
ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেয়।

১লা ফ্রেবুয়ারি

Labels:
By: Admin -
আমাজান সমাচার
------------------
অনেকেই হয়তো Animal Planet কিংবা Discovery Channel এ আমাজানের বহু সচিত্র প্রতিবেদন দেখেছেন। এই বন আসলেই অন্য যেকোন বনের চেয়ে আলাদা। এ প্রসঙ্গে একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বলেন, 'আমাজান বনরাজ্য হচ্ছে জীববিজ্ঞানের এক বিরাট লাইব্রেরী, ভেষজ রসায়নের পৃথিবীর বৃহত্তম ল্যাবরেটরি এবং বিশ্ব আবহাওয়ার প্রাণকেন্দ্র।'
* আমাজান পৃথিবীর বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট।
* এর আয়তন প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।
* দক্ষিণ আমেরিকার নয়টি দেশ নিয়ে আমাজানের বিস্তৃতি।
* পৃথিবীর ২য় দীর্ঘতম 'আমাজান নদী' এই বনের মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়।
* এই বনে বড় প্রাণীদের সংখ্যা নিতান্ত কম। ছোট পোকা-মাকড় আর রং-বেরংয়ের পাখিতে আমাজান সমৃদ্ধ।
* এ বনেই থাকে বানরখেকো 'হার্পি ঈগল' আর বিখ্যাত 'ম্যাকাও' পাখি।
* পৃথিবীর ২০% অক্সিজেনের আঁতুড় ঘর হল আমাজান বন।

আমাজান সমাচার

Labels:
By: Admin -
কানের ময়লা বেশির ভাগ সময়েই পরিষ্কার করা দরকার নেই ।
ছোটোবেলায় বাপে কান টাইনা দেখতো কানে একটুখানি ময়লাও জমছে কিনা ।
যেন কানে ময়লা জমাটা একটা রোগ ।
এমন ধারণা অনেকেরই ।
অথচ কানে ময়লা জমা অস্বাভাবিক কিছু নয় ।
সাধারণত কানের ময়লা এমনিতেই বেরিয়ে আসে । এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই ।
ময়লা বেশী জমে গেলে কানে ৩/৪ ফোঁটা অলিভ অয়েল ৫/৭ দিন দিলেই তা বেরিয়ে আসে ।
তবে কোনো অবস্থাতেই কান খুঁচানো ঠিক নয় ।
ঘনঘন কান খুচালে কানে মারাত্মক ইনফেকশন হতে পারে ।
এজন্য বধিরও হয়ে যেতে পারেন ।
মনে রাখবেন , কান খুবই স্পর্শকাতর অঙ্গ ; কানে যেকোনো সমস্যা হলে বিন্দুমাত্র অবহেলা না করে তাই একজন ইএনটি স্পেশালিস্ট দেখান ।

কানের ময়লা

Labels:
By: Admin -
অব্দ,সন ও সাল
অব্দ শব্দটি সংস্কৃত ।অর্থ - বছর।বাংলায় একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।(বঙ্গ+অব্দ= বঙ্গাব্দ)
সন শব্দটি আরবী। অর্থ -বছর।
সাল শব্দটি ফারসী।অর্থ-বছর।
আমরা সাধারনত হিজরী ও বাংলার বছর বোঝাতে সন ব্যবহার করি।আর খ্রীস্টিয় বছর বোঝাতে সাল ব্যবহার করি।এর কারন কি ?তা ঠিক জানি না।হতে পারে হিজরী শব্দের সাথে সন শব্দটা আগে থেকেই চালু ছিল আর আমাদের পূর্ব পুরুষরা বাংলার সাথেও সন ব্যবহার শুরু করে।(কারন বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরীতে হিজরীর ভূমিকা ছিল)।আর এর অনেক পরে ইংরেজ রাজত্ব শুরু হওয়ায় খ্রীস্টিয় বছরের জন্য সাল ব্যবহার করে হয়তোবা পার্থক্য সূচিত করার জন্য।তবে কোন বাধা ধরা নিয়ম কি আছে ? আমার জানা নেই।প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লিখেছিলেন “১৪০০ সাল” শিরোনামে (যদিও বাংলা বছর বলে সন লেখাটাই বিধেয় ছিল) আর নজরুল ও তার উত্তর লিখেছিলেন একই শিরোনামে।

অব্দ,সন ও সাল

Labels:
By: Admin -
সাদা হাতের গিবনেরাঃ
সাদা হাতের গিবন দেখতে ছোটখাটো, লেজবিহীন। এদের শরীর পুরু নরম লােমে ঢাকা। এরা গাছে থাকে। অনেক উঁচুতে পাতার আচ্ছাদনে থাকতেই পছন্দ করে। বড় বড় হাতের কারণে এরা খুব সহজেই এক গাছের ডাল থেকে অন্য গাছের ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে যেতে পারে।
শুধু তাই নয়, সাদা হাতের গিবনরা খুব দ্রুততার সাথে দিক পরিবর্তন করেতে পারে, শূন্য থেকে পাখি ধরতে পারে মাটিতে নামার পর সেগুলোকে খায় তারা। সবচাইতে দ্রুতগামী প্রাইমেটদের মধ্যে এরা অন্যতম। উল্লেখ্য প্রাইমেট হচ্ছে উচ্চশ্রেণীর স্তন্যপায়ী প্রাণী
সাদা হাতের গিবনদের দেখা মেলে থাইল্যাণ্ড, ইন্দোনেিশয়া মালয়শিয়া, লাওস এবং মিয়ানমারের অরণ্যে। তবে নির্বিচারে বন উজাড় ও চোরা শিকারীদের দৌরােত্মে ক্রমশ এদের সংখ্যা কমে আসছে।
এই গিবনেরা এতোটাই দ্রুত যে এক ডাল থেকে আরেক ডালে যাওয়ার সময় বলা চলে এরা প্রায় ডাল স্পর্শই করেনা।
এভাবে অনেকটা উড়ে উড়েই প্রায় ৪০ ফিট পর্যন্ত যেতে পারে এই ছোট্ট গিবনেরা। অনেক সময় বনে মধ্যে থাকা নদী বা বড় খোলা জায়গাও এরকম অ্যাক্রোবেটিক টেকনিকের দ্বারা পার হয়ে যায় এরা। তবে মাঝে মধ্যে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে হাড় ভাঙার মত ঘটনাও ঘটে এদের ক্ষেত্রে।
এই গিবনেরা গাছের উপরেই ঘুমায়। ঘুমানোর সময় এরা মুখ এদের হাঁটু আর বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখে। এরা সাধারণত দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়ার সময়ও এরা দুই পায়ে ভর দিয়ে দুই হাতে গাছ ধরে ধরে যায়।
এই 'সাদা-হাতি' গিবনদের দুই হাত এবং দুই পায়ের উপরের অংশ সাদা পশমে ঢাকা থাকে। এ কারণেই এদের ‘সাদা-হাতি’ বলা হয়। এরা সপরিবারে বসবাস করে। এদের ছোট ছোট পরিবারে সাধারণত একজন পুরুষ, একজন নারী এবং এদের বাচ্চাকাচ্চারা থাকে। বাচ্চা সাদা-হাতি গিবন সম্পূর্ণ সাদা অবস্থায় জন্ম নেয়।
জন্মের ২ থেকে ৪ বছরের মধ্যে এরা পরিপূর্ণ রং ধারণ করে।
সাদা-হাতি গিবনদের অনেক সময় মাংসের জন্য শিকার করা হয়। থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশে বাচ্চা সাদা-হাতি গিবনের চাহিদা রয়েছে পোষা প্রাণী হিসেবে।

সাদা হাতের গিবনেরা

Labels:
By: Admin -